ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর উপায়

ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর উপায়

ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর উপার নিয়ে আজকের এই পোস্ট। আজকের এই পোস্টে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর বিশ্বস্থ কিছু উপায় নিয়ে আমি আলোচনা করবো।  প্রযুক্তি যত এগিয়ে যাচ্ছে জীবনযাত্রা সহজ হচ্ছে। একটা সময়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে অনেক টাকা খরচ হতো, বর্তমানে আপনি চাইলে ফ্রিতে তৈরি করতে পারেন। নিজের একটা ওয়েবসাইট, নিজের একটা আলাদা আইডেন্টিটি।
আপনি চাইলে সহজেই এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। ওয়েবসাইটের হোস্টিং থেকে শুরু করে ডোমেইন পর্যন্ত কোথাও আপনাকে খরচ করতে হবে না। পুরো প্রক্রিয়াটা কিভাবে ফ্রিতে করা যায় সে বিষয় নিয়েই আজকে আলোচনা করব।
ওয়েবসাইট তৈরির আগে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে  আপনি কোন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করবেন এবং সেটা কি কাজে ব্যবহার করবেন।
ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরির আগে মাথায় রাখতে হবে। ফ্রী ওয়েবসাইটে কিছু সমস্যা থাকতে পারে যেমন –
  • ওয়েবসাইটের লোড স্পিড কম হতে পারে
  • বিভিন্ন লিমিটেশন থাকতে পারে
  • কখনো কখনো আপনার ডোমেইনে সিকিউরিটি রিস্ক  থাকতে পারে
তাই আমরা বলব ফ্রিতে যদি ওয়েবসাইট বানাতে চান তাহলে বিশ্বাসযোগ্য কিছু প্ল্যাটফর্ম আছে সেগুলো ট্রাই করেন। আমরা এখন ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরীর কিছু বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্মের কথা জানব।

ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর উপায়

 

ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর কথা মনে আসলে প্রথমেই মনে আসে গুগল ব্লগারের নাম। গুগলের ব্লগার হচ্ছে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর পারফেক‍ট একটি প্লাটফর্ম যা দিয়ে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে একটা পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। থিম থেকে শুরু করে হোস্টিং, ডোমেইন সবকিছু আপনি ফ্রিতে পাবেন।
গুগল ব্লগার ওয়েবসাইটের সবচেয়ে সুবিধা হচ্ছে এটা কি আপনি খুব সহজেই মনিটাইজ করতে পারবেন। আপনার নিজের একটা পোর্টফলিও সাইট বানাতে, একটা নিউজ ওয়েবসাইট বানাতে অথবা একটা ব্লগ বানাতে আপনি গুগল ব্লগার ইউজ করতে পারেন। গুগল ব্লগারের থিমগুলোয় যথেষ্ট ভাল প্রফেশনাল লুক দেয়া আছে,  তাই এগুলো দিয়ে খুব সুন্দর ওয়েবসাইট বানানো যায়।
এই থিমগুলো খুব সহজেই কাস্টমাইজ করা যায়। আপনি গুগল ব্লগারে সহজেই ভিজিটর অ্যানালিটিকস পেয়ে যাবেন। ব্লগারে ওয়েবসাইট বানালে আপনাকে হোস্টিং নিয়ে ভাবতে হবে না, আপনি আনলিমিটেড হোস্টিং স্পেস পাবেন এখানে। আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন হবে অনেকটা এরকম abc.blogpost.com.

WordPress

ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর নিয়ম

ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর ২য় পরিচিত মাধ্যম হলো ওয়ার্ডপ্রেস। ওয়ার্ডপ্রেস হলো পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সিএমএস। পৃথিবীর বর্তমানের বেশিরভাগ ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেসে বানানো। ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি সহজেই থিম কাস্টমাইজ করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেসের কাস্টমাইজ ফেসিলিটি ব্লগার চেয়ে অনেক বেশি।
ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি অনেক বেশি ফিচার পাবেন। তবে যদি ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর কথা ভাবেন তাহলে ওয়ার্ডপ্রেসের অনেক লিমিটেশন আছে। যেমন ব্লগারে আপনি আনলিমিটেড হোস্টিং স্পেস পেলেও ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি খুব সামান্য স্পেস পাবেন। ওয়ার্ডপ্রেসের ফ্রী প্লেনে বেসিক ফাংশনালিটি আছে।  এটা মনিটাইজেশন করতে গেলেও অনেক ঝামেলা  হবে।

GitHub Pages

ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরীর উপায়

ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর ৩য় উপায় হলো গিটহাব পেজ। গিটহাব মূলত ডেভালপারদের জন্য ডেডিকেট করা একটা ওয়েবসাইট। ডেভেলপাররা তাদের প্রজেক্ট প্রমোট করতে গিট পেইজ ব্যবহার করে। আপনি চাইলে গিটপেজ ব্যবহার করে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে দেখতে পারেন। ওরা মূলত আপনাকে লার্নিং ওয়েবসাইট বানানোর সুযোগ দিবে। যেহেতু ফ্রি তাই আপনি চাইলে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।

ডেভেলপাররা তাদের প্রজেক্ট প্রোমোট করার জন্য, GitHub Page ব্যবহার করে। যেকেউ চাইলেই GitHub Pages ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি বা হোস্ট করতে পারে।

GitHub মূলত আপনাকে লার্নিং ওয়েবসাইট অফার করবে, সবাই এতে সন্তুষ্ট নাও হতে পারে। আপনার হাতে সময় থাকলে একবার ট্রাই করে দেখতেই পারেন।

সাবধানতা

আপনি গুগলে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর উপায় লিখে সার্চ করলেই অনেক  ওয়েবসাইট পাবেন যারা পেইড ডোমেইন, হোস্টিং, থিম সব আপনাকে প্রথম বছরের জন্য ফ্রি দিবে। সাবধান, এই ধরনের ওয়েবসাইটের পাল্লায় পড়বেন না। ওরা প্রথম বছরে আপনাকে সব ফ্রি দিলেও ২য় বছর থেকে আকাশচুম্বী রিনিউয়াল প্রাইস চাইবে। তখন আপনি বাধ্য হয়ে সে ডোমেইন ছেড়ে দিবেন।

তাহলে ওদের লাভ কি? ওদের লাভ হলো আপনি এই যে ১ বছর সাইট চালালেন, পোস্ট করলেন, শেয়ার করলেন এতে আপনার ডোমেইনের একটা এস ই ও ভ্যালু তৈরী হয়েছে। আপনি ছেড়ে দেওয়ার পর ওরা আপনার ডোমেইনটি অকশনে বিক্রি করবে অথবা প্রিমিয়াম ডোমেইন হিসেবে বেশী দামে বিক্রি করবে। এভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর চেয়ে না বানানোই ভালো।

 

কিছু নিয়মিত প্রশ্ন ও উত্তর

 

আমি কি ফ্রি ওয়েবসাইট থেকে পেইড ওয়েবসাইটে আপগ্রেড করতে পারবো?

হ্যাঁ, আমি উপরে উল্লেখিত সবগুলো সার্ভিসে ফ্রি ওয়েবসাইটে থেকে নির্দিষ্ট দাম পরিশোধ করে পেইড সাইটে আপগ্রেড করতে পারবেন।

ফ্রি ওয়েবসাইট থেকে পেইড ওয়েবসাইটে আপগ্রেড করলে আমার কনটেন্ট কি থাকবে?

হ্যাঁ, আপনার কন্টেন্ট ঠিক রেখে আপগ্রেড করার সুযোগ আছে। আপগ্রেডের আগে অবশ্যই সাইট ব্যাকআপ নিবেন। নিজে যদি না বুঝেন তাহলে অবশ্যই এক্সপার্ট কারো সাহায্য নিবেন।

ফ্রি ওয়েবসাইট থেকে পেইড ওয়েবসাইটে আপগ্রেড করলে আগের থিম এবং ডিজাইন ব্যবহার করা যাবে?

হ্যাঁ ব্যবহার করা যাবে।

শেষ কথা

ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর উপায় নিয়ে করা এই পোস্ট যদি আপনাদের ভাল লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর উপায় আরও উপায় যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আমাদের জানাবেন। আমরা সেটা পোস্টে সংযুক্ত করে দিবো। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করবেন। আমি উত্তর দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

 

ডার্ক-ওয়েব

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার ১৫টি উপায়

ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

অনলাইনে ডিজিটাল পাসপোর্ট বা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২২ বিস্তারিত ছবি সহ

নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র বা নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার অনলাইন পদ্ধতি

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রক্রিয়া ছবি সহ বিস্তারিত

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *