Site icon shadheenbangla

অনলাইনে ডিজিটাল পাসপোর্ট বা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ বিস্তারিত ছবি সহ

পাসপোর্ট করার নিয়ম

অনলাইনে ডিজিটাল পাসপোর্ট বা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২২ নিয়ে এই পোস্ট। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট চালু করেছে। ইতোমধ্যে প্রায় সকল জেলাতেই দেয়া হচ্ছে।

আপনি নিজেই দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন যদি আপনার একটি ফোন বা কম্পিউটার থাকে। এখানে আমি অনলাইনে ই পাসপোর্ট ফরম (Bangladesh Passport Online Form) পূরন কিভাবে করবেন ও প্রয়োজনীয় সকল তথ্য আপনাদের জানাব। আশা করি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন এখানে।

ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগবে

Are you searching for an e-passport fee in Bangladesh or an e-passport bd price? Here is the full list of e-passport fees with 15% vat included.

পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা, মেয়াদ ও ডেলিভারীর ধরণ অনুসারে ফি’র পরিমাণ ভিন্ন হয়ে থাকে।

ই পাসপোর্ট ফি কত ২০২২ / ই-পাসপোর্ট ফি এর পরিমান

ডেলিভারী 48 Pages 48 Pages 64 Pages 64 Pages
5 Years 10 Years 5 Years 10 Years 5 Years
রেগুলার ৪,০২৫ টাঃ ৫,৭৫০ টাঃ ৬,৩২৫ টা ৮,০৫০ টা
এক্সপ্রেস ৬,৩২৫ টাঃ ৮,০৫০ টাঃ ৮,৬২৫ টা ১০,৩৫০ টা
সুপার এক্সপ্রেস ৮,৬২৫ টাঃ ১০,৩৫০ টাঃ ১২,০৭৫ টা ১৩,৮০০ টা
ই পাসপোর্ট ফি

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

  • উপরোক্ত সকল ফি’র মধ্যে ১৫% ভ্যাট অর্ন্তভূক্ত আছে
  • সরকারি চাকরিজীবিদের যাদের NOC আছে বা অবসর সনদ আছে, তারা রেগুলার ফি দিয়ে জরুরী সুবিধা পাবেন। সরকারী চাকরীজীবিদের জন্য জরুরী আবেদন প্রযোজ্য নয়।

ই-পাসপোর্ট ফি নিয়ে কিছু সচরাচর প্রশ্ন

ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগবে?

ই-পাসপোর্টের মেয়াদ, পাতার সংখ্যা ও ডেলিভারী সময়ের উপর নির্ভর করে ফি ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণ আবেদনে ৫ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট ফি ৪০২৫ টাকা।

ঘরে বসে কিভাবে ই-পাসপোর্ট ফি জমা দেব?

“এ-চালান” সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই, বিকাশ, রকেট, সোনালী ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকের মাধ্যমে আপনার ই-পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ব্যাংকে ভিজিট করতে হবেনা। দেখুন কিভাবে নিজেই ই-পাসপোর্ট ফি জমা করবেন

ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

ই পাসপোর্ট আবেদনের জন্য খুব বেশি কাগজপত্রের দরকার হয় না এবং সত্যায়িত করানোর ও প্রয়োজন হয় না। ই পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যা লাগে তা হল,

  • অনলাইনে আবেদনের সারসংক্ষেপ বা সামারী – Application Summery
  • আবেদনের কপি
  • জাতীয় পরিচয়পত্র/ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • ঠিকানার প্রমাণপত্র/ ইউটিলিটি বিলের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি ও অরিজিনাল পাসপোর্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (শিশুদের ক্ষেত্রে আবশ্যিক)
  • পেশাগত সনদের ফটোকপি বা চাকুরীর আইডি কার্ড (পেশাজীবির ক্ষেত্রে- যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক, আইনজীবি)
  • নাগরিক সনদ/ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২

ই পাসপোর্ট করার জন্য ভিজিট করুন www.epassport.gov.bd এবং আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনুসারে অনলাইনে আবেদন করুন। আবেদনে ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা ও পিতা-মাতার তথ্য সঠিকভাবে লিখুন। আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না এবং ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।

অবশ্যই জাতীয় ‍পরিচয়পত্র(NID – National Identity Card) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (Birth Registration Certificate) সনদ অনুযায়ী, নাম, পিতা-মাতার নাম ও অন্যান্য তথ্য পূরণ করতে হবে।

পাসপোর্ট আবেদন ফরম অনলাইনে পূরণের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিদের্শনাবলী অনুসরণ করতে হবে। যদি কোন প্রকার ভুল করে থাকেন তার জন্য আপনাকে পরে ভোগান্তি পেতে হবে।

আবেদনের পূর্বে অবশ্যই ই পাসপোর্ট আবেদনের নিয়ম কানুন জেনে নিন। কিভাবে আপনি নিজেই আবেদন করবেন তা ধাপে ধাপে দেখানো হল।

ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম

পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করার জন্য প্রথমে ভিজিট করুন- www.epassport.gov.bd । তারপর Apply Online মেন্যুতে ক্লিক করে, আঞ্চলিক অফিস ও থানা নির্বাচন করুন। এরপর ইমেইল ভেরিফিকেশন করে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, পূর্ববর্তী পাসপোর্টের তথ্য, ঠিকানা, পিতা-মাতার তথ্য ও জরুরী যোগাযোগের ঠিকানা পূরণ করুন। সবশেষে পাসপোর্টের ধরণ ডেলিভারীর ধরণ সিলেক্ট করে আবেদন সম্পন্ন করুন ও প্রিন্ট কপি নিন।

পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের আগে প্রথমে আপনার জেনে নিতে হবে আপনার জেলায় ই পাসপোর্ট সেবা প্রদান করছে কিনা। এখানে দেখে নিতে পারবেন আপনার জেলায় ই পাসপোর্ট সুবিধা রয়েছে কিনা।

আঞ্চলিক ই পাসপোর্ট অফিসসমূহ :

বর্তমানে নিম্নলিখিত পাসপোর্ট অফিসগুলিতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু আছে

১। আগারগাওঁ
২। যাত্রাবাড়ি
৩। উত্তরা
৪। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
৫। বাংলাদেশ সচিবালয়
৬। গাজীপুর
৭। মনছুরাবাদ
৮। ময়মনসিংহ
৯। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
১০। গাইবান্ধা
১১। গোপালগঞ্জ
১২। মানিকগঞ্জ
১৩। নরসিংদী
১৪।নোয়াখালী
১৫। ফেনী
১৬। চাঁদগাওঁ
১৭। কুমিল্লা
১৮। মুন্সিগঞ্জ
১৯। সিলেট
২০। মৌল্ভিবাজার
২১। সুনামগঞ্জ
২২। হবিগঞ্জ
২৩। যশোর
২৪। খুলনা
২৫। কুষ্টিয়া
২৬। বি-বাড়িয়া
২৭। রাজশাহী
২৮। চাপাইনবাবগঞ্জ
২৯। বগুড়া
৩০। রংপুর
৩১। দিনাজপুর
৩২। নওগাঁ
৩৩। জয়পুরহাট
৩৪। বরিশাল
৩৫। পটুয়াখালি
৩৬। পাবনা
৩৭। সিরাজগঞ্জ
৩৮। কিশোরগঞ্জ
৩৯। নাটোর
৪০। মাগুরা
৪১। নড়াইল
৪২। লক্ষ্মীপূর
৪৩। টাঙ্গাইল
৪৪। জামালপুর
৪৫। শেরপুর
৪৬। নেত্রকোনা
৪৭। মাদারীপুর
৪৮। ফরিদপুর
৪৯। রাজবাড়ি
৫০। ঝিনাইদহ
৫১। সাতক্ষীরা
৫২। বাগেরহাট
৫৩। ভোলা
৫৪। বরগুনা
৫৫। চুয়াডাঙ্গা
৫৬। ঝালকাঠি
৫৭। কুড়িগ্রাম
৫৮। লালমনিরহাট
৫৯। মেহেরপুর
৬০। নীলফামারী
৬১। পঞ্চগড়
৬২। পিরোজপুর
৬৩। শরিয়তপুর
৬৪। ঠাকুরগাঁও
৬৫। বান্দরবান
৬৬। চাঁদপুর
৬৭। কক্সবাজার
৬৮। খাগড়াছড়ি
৬৯। নারায়নগঞ্জ
৭০। রাঙামাটি

ধাপ ১: আঞ্চলিক অফিস ও থানা নির্বাচন

ভিজিট করুন- E-passport application. আপনি নিচের মত একটি পেইজ দেখবেন।

ডিজিটাল পাসপোর্ট / ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২

এখান থেকে আপনি ক্লিক করুন Directly to online Application তারপর নিচের পেইজ আসবে। এখানে আপনার জেলা ও পুলিশ থানার নাম সিলেক্ট করুন।

এবার আপনাকে আপনার ইমেইল ভেরিফিকেশন করতে হবে। এখানে আপনি যে ইমেইল এড্রেসটি লিখবেন সেটির পাসওয়াড যেন আপনার জানা থাকে। কারণ পাসওয়াড না জানলে আপনি সেটি ভেরিফাই করতে পারবেন না।

ইমেইলের পাসওয়াড মনে না থাকলে সেটি পরিবতন করে নিতে পারেন।

আপনার ইমেইল টি লিখুন ও নিচের রোবট ভেরিফিকেশন টিক দিয়ে Continue বাটন ক্লিক করুন।

ধাপ ২: ইমেইল ভেরিফিকেশন

এখন পাসপোর্ট ওয়েবসাইট থেকে আপনার ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন লিংক পাঠাবে। আপনাকে সেই লিংকে ক্লিক করে আপনার ইমেইলটি ভেরিফাই করতে হবে।

ধাপ ৩: ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ

ইমেইল ভেরিফিকেশনের পর, পুনরায় ওয়েবসাইটে লগইন করুন Login

এখানে আপনার নাম, তথ্য ও জাতীয় পরিচয়পত্র বা নম্বর দিন এবং Save and Continue তে ক্লিক করুন।

জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন কোনটি প্রয়োজন?

উল্লেখ্য যে, যদি আপনার বয়স ১৮ বছরের কম হয়ে থাকলে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে আপনি অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন।

১৮-২০ বছরের মধ্যে বয়স হলে, আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন (BRC) উভয়টির যে কোন একটি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।

যদি আপনার বয়স ২০ বছরের বেশি হয়, আপনাকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিতে হবে। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মাট কার্ড না পেলে, জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারেন।

আপনার পূর্বের কোন পাসপোর্ট থাকলে Yes দিন আর না থাকলে No, I don’t have any previous/ hand written passport.

আপনার Present Address ও Permanent Address সঠিকভাবে লিখুন। যদি বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হয়, নিচের বক্সে টিক দিন।

এরপর আপনার পিতা মাতার নাম তাদের জাতীয় পত্র অনুসারে লিখুন। আপনার স্বামী বা স্ত্রীর নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে লিখুন।

জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য আপনার পরিবারের বাবা, ভাই বা অন্য কারো নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিন।

এবার আপনার পাসপোর্টের ধরন, পাতা ও ডেলিভারী সাধারণ বা জরুরী বাছাই করুন।

সবশেষে আপনার সব তথ্য পূনরায় যাচাই করে আবেদন জমা দিতে  Submit বাটনে ক্লিক করুন।

ই পাসপোর্ট ফি প্রদান ও আবেদন প্রিন্ট

আপনার আবেদন করা হলে প্রিন্ট করার জন্য আপনি ২টি পৃষ্ঠা পাবেন। 1) Application Summery, 2) Online Registration Form. এগুলো আপনি প্রিন্ট করে নিতে পারেন বা পিডিএফ ফাইল হিসেবে আপনার কম্পিউটারে সেইভ করতে পারেন।

Application summery টি ১ পৃষ্ঠা ও Online Registration form টি উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করবেন।

 

ঘরে বসে অনলাইনে এ চালান পরিশোধ করার নিয়ম

আজ জানাব, স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি বা অটোমেটেড চালান সিস্টেম বা এ চালান কী (A Challan bd – Automated Challan System), এ চালানের সুবিধা, ঘরে বসে অনলাইনে এ চালান পরিশোধ করার নিয়ম ও বিস্তারিত।

এ চালান কি

বিভিন্ন ধরনের সরকারি সেবার ফি অনলাইনে জমা দিতে চালু হয়েছে অটোমেটেড বা স্বয়ংক্রিয় চালান সিস্টেম (এ-চালান পদ্ধতি)। এখন থেকে বিভিন্ন ধরনের সরকারি সেবার ফি এ চালানের মাধ্যমে অনলাইনে জমা দেওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পাসপোর্ট ফি, ট্যাক্স, ভ্যাট এর জন্য এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সরকারের সকল মন্ত্রণালয় বা সংস্থার সরকারি ফি আদায়ের জন্য এ চালান ব্যবহার করা হবে।

পূর্বে ব্যাংক কাউন্টারে লাইনে অপেক্ষা করে চালান জমা দেয়া হত। এটা ছিল নাগরিকদের সময়ের অপচয়। তাছাড়া পূর্বের চালানে আমানতকারীর সঠিক পরিচয় দিয়ে লেনদেন সংরক্ষণ করা হতনা। ফলে, সরকারের রাজস্ব ব্যবস্থায় যাচাই এবং স্বয়ংক্রিয় করার ব্যপারটি কঠিন হয়ে পড়ে।

এ জন্য বাংলাদেশ সরকারের অর্থ বিভাগ স্বয়ংক্রিয় চালান সিস্টেম (এ চালান) শুরু করেছে এখন, একজন নাগরিক অনলাইন থেকে এ-চালানের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি ফি যেমন ভ্যাট, কর, পাসপোর্ট ও অন্যান্য ফি অটোমেটেড চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারেন। এজন্য তাকে ব্যাংক কাউন্টারের দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হবে না।

অনলাইনে এ চালান পরিশোধ করার নিয়ম | Pay A Challan Online

বর্তমানে, আপনি শুধুমাত্র অনলাইন ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং রকেট ও বিকাশের মাধ্যমে অনলাইনে এ চালান পেমেন্ট করতে পারবেন।

এছাড়া সোনালী ব্যাংক পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে, যে কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড দিয়ে এ চালান পরিশোধ করতে পারবেন।

অনলাইনে এ চালান পেমেন্ট করার মাধ্যমসমূহ:

  • সোনালী ব্যাংক/ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট
  • যেকোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড
  • ডিবিবিএল নেক্সাস কার্ড – DBBL Nexus Card
  • মোবাইল ব্যাংকিং- রকেট ও বিকাশ

এ চালান লেনদেনের সময়

বর্তমানে, এ চালান লেনদেনের সময় সকাল 10 টা থেকে বিকেল 4 টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে কারণ সিস্টেমটি খুবই নতুন। কিন্তু শীঘ্রই এটি 24/7 পাওয়া যাবে।

অনলাইনে এ চালানের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার নিয়ম

এখানে আমি একটি পাসপোর্টের জন্য এ চালান পেমেন্ট করে দেখাবো। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

ধাপ ১: অনলাইনে এ চালান পেমেন্ট করার জন্য Automated Challan System Bangladesh (A Challan) সিস্টেমে ভিজিট করুন এখান থেকে

ধাপ ২: পাসপোর্ট অপশন থেকে ই পাসপোর্ট ফি সিলেক্ট করুন। তারপর আপনার সামনে নিচের মত একটি উইন্ডো ওপেন হবে।

ধাপ ৩: এখান থেকে পাসপোর্টের ধরণ, মেয়াদ ও ডেলিভারীর ধরণ বাছাই করুন। স্বয়ংক্রীয়ভাবে টাকার পরিমাণ ও ভ্যাটসহ মোট টাকার পরিমাণ দেখাবে। নিচ থেকে OK বাটন ক্লিক করুন।

ধাপ ৪: এবার যে ব্যক্তির পক্ষ থেকে এ চালান পরিশোধ করা হবে, তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর সনাক্তকরণ নম্বর হিসেবে দিতে হবে।

মনে রাখবেন, যদি জাতীয় পরিচয়পত্র দ্বারা পাসপোর্টের আবেদন করা হয় অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিবেন। আর যাদের বয়স ২০ বছরের কম, জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিবেন।

অর্থ পরিশোধের বিবরণ থেকে পেমেন্ট অপশন – অনলাইন ব্যাংকিং বাছাই করুন (2 নং চিহ্নিত)।

সোনালী ব্যাংক একাউন্ট, যেকোন ব্যাংকের ভিসা, মাস্টারকার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড, অথবা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চাইলে ব্যাংক অপশনে SONALI BANK LTD গেটওয়ে সিলেক্ট করুন।

তারপর মোট টাকার পরিমাণ লিখে Add বাটনে ক্লিক করুন। এখানে সর্বমোট প্রদেয় টাকার পরিমাণ দেখাবে।

ধাপ ৫: এখন Save বাটনে ক্লিক করুন। আপনাকে সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়েতে নেয়া হবে।

ধাপ ৬: এখান থেকে Account অথবা Visa/ Master Card/ Amex Card অথবা Mobile Banking অপশন সিলেক্ট করে পেমেন্ট করুন।

চালান কপি প্রিন্ট করতে না পারলে, চালান নম্বর দিয়ে এ চালান ভেরিফিকেশন ওয়েবসাইট থেকে প্রিন্ট নিতে পারবেন।

যদি চালান নম্বর নিতে পারেন, সেই ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক পেমেন্ট গেটওয়ের ফেইসবুক সাপোর্ট গ্রুপ SPG Support Group – যোগাযোগ করলে আপনার চালান নম্বর ও পেমেন্ট স্লিপ সংগ্রহ করতে পারবেন।

বিকাশের মাধ্যমে এ চালান পরিশোধ করার নিয়ম

যেহেতু বিকাশ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, হতে পারে আপনার ও বিকাশ একাউন্ট রয়েছে। আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকেই পাসপোর্ট ফি সহ অন্যান্য সরকারি ফি এ চালানের মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন।

বিকাশের মাধ্যমে এ চালান জমা দেয়ার জন্য, পূর্বের মত একইভাবে ৫ নং অপশন (অর্থ পরিশোধের বিবরণ) থেকে অনলাইন ব্যাংকিং সিলেক্ট করবেন। ব্যাংক অপশন থেকে, SONALI BANK LTD সিলেক্ট করুন।

তারপর মোট টাকার পরিমাণ লিখে Add বাটনে ক্লিক করুন। এখানে সর্বমোট প্রদেয় টাকার পরিমাণ দেখাবে।

এখন Save বাটনে ক্লিক করুন। আপনাকে সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়েতে নেয়া হবে। এখানে Mobile Banking বাটনে ক্লিক করে পেমেন্ট করুন।

বিকাশ লোগোতে ক্লিক করুন

এখানে, Pay with bKash বাটনে ক্লিক করুন। বিকাশের পেমেন্ট অপশন আসলে, আপনার মোবাইল নম্বর দিন। তারপর আপনার বিকাশ মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে।

ভেরিফিকেশন কোড ও আপনার বিকাশের পিন দিয়ে পেমেন্ট করুন।

* সাবধানতা- অনলাইনে পেমেন্ট করার সময় সাবধান থাকবেন যেন আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস বন্ধ বা ইন্টারনেট কানেকশন যেন বিচ্ছিন্ন না হয়।

পেমেন্ট করার সময় যদি আপনার ডিভাইস বন্ধ বা ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, আপনার টাকা কর্তন হলেও চালানের প্রিন্ট কপি নাও পেতে পারেন। এমন সমস্যা হলে, সোনালী ব্যাংকের ফেইসবুক সাপোর্ট গ্রুপ SPG Support Group – যোগাযোগ করলে আপনার চালান নম্বর ও পেমেন্ট স্লিপ সংগ্রহ করতে পারবেন।

রকেটের মাধ্যমে এ-চালান পরিশোধ করার নিয়ম

রকেট থেকে এ চালান জমা দেয়ার জন্য সব কিছু আগের মতই থাকবে, শুধুমাত্র ৫ নং- অর্থ পরিশোধের বিবরণ থেকে , মোবাইল ব্যাংকিং ও রকেট সিলেক্ট করুন। নিচের ছবিতে খেয়াল করুন।

এখন Save বাটনে ক্লিক করুন। আপনাকে Dutch Bangla Bank Rocket এর পেমেন্ট গেটওয়েতে নেয়া হবে। নিচের ছবিতে দেখুন কিভাবে রকেট থেকে এ চালান জমা দিবেন।

আপনার রকেট একাউন্ট নম্বরটি লিখুন (আপনার মোবাইল নম্বর ১১ ডিজিট + একাউন্ট ডিজিট ১ ডিজিট = একাউন্ট ১২ ডিজিট)।

তারপর আপনার রকেট একাউন্টের ৪ ডিজিটের পিন নম্বরটি লিখুন এবং SUBMIT বাটনে ক্লিক করে চালানের টাকা পরিশোধ করুন।

* সাবধানতা- টাকা পরিশোধের সময় সাবধান থাকবেন যেন আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস বন্ধ বা ইন্টারনেট কানেকশন যেন বিচ্ছিন্ন না হয়।

কিভাবে এ চালান যাচাই ও প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করবেন – A Challan Check or Verify

এ চালান যাচাই করার জন্য, ই চালান ভেরিফিকেশন সাইটে গিয়ে চালান নম্বর দিয়ে যাচাই করেন। তাছাড়া যদি আপনি চালানের প্রিন্ট কপি নিতে না পারেন, চিন্তার কোন কারণ নেই। চালান নম্বর দিয়ে Automated Challan Verification পেইজ থেকে আপনার এ চালানের প্রিন্ট কপি নিতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন বাতিল করার নিয়ম

অনলাইনে ই পাসপোর্টের আবেদন করা হলে, আপনি নিজে থেকে আবেদন বাতিল করার কোন সুযোগ নেই। আবেদন বাতিলের জন্য আপনি আপনার জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকের কাছে লিখিত আবেদন করতে পারেন।

তাছাড়া, আবেদনে কোন প্রকার ভুলের কারণে যদি আবেদন বাতিল করতে চান, তা বাতিল না করলেও পারেন। পাসপোর্ট অফিস থেকে এসব ভুল সংশোধন করে পাসপোর্ট আবেদন এনরোলমেন্টে দিতে পারবে। এজন্য আপনার ভুলের ব্যপারে অফিসে অবগত করুন।

ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম

অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করার পর, আবেদনটি কোন পর্যায়ে আছে তা আপনি অনলাইন থেকেই জানতে পারবেন।

অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করার নিয়মটি খুবই সহজ। ই পাসপোর্টের বর্তমান স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন এখানে- ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক

  • অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করার জন্য উপরের লিংকে ক্লিক করুন।
  • Online Registration ID লিখুন। এটি OID1000001234 এ ধরণের একটি আইডি যা অ্যাপ্লিকেশ সামারি পেইজে পাওয়া যাবে। এছাড়া, Application ID ও ব্যবহার করতে পারেন।
  • পাসপোর্ট আবেদন অনুযায়ী আপনার জন্ম তারিখ লিখুন।
  • I am human লেখার বাম পাশে, টিক দিন এবং ক্যাপচা পূরণ করুন।

সবশেষে চেক বাটনে ক্লিক করুন। আপনার পাসপোর্ট স্ট্যাটাস জানতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম- MRP to E Passport

যদি আপনার একটি এমআরপি পাসপোর্ট থাকে যার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, আপনি এটিকে রিনিউ করে ই পাসপোর্ট পেতে পারেন।

এজন্য রিনিউ করার কোন আবেদন করতে হবেনা, আপনাকে নতুনভাবে ই পাসপোর্টের আবেদন করতে হবে। আবেদনের ক্ষেত্রে ID Documents অপশন থেকে শুধু মাত্র আপনার পূর্ববর্তী এমআরপি পাসপোর্টের তথ্য দিবেন।

এমআরপি থেকে ই পাসপোর্টে রিনিউ করার সুবিধা

MRP পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্টে রিনিউ করার বড় সুবিধা হলো, তথ্য পরিবর্তন। অর্থাৎ আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্টে যদি কোন তথ্যের ভুল থাকে আপনি সহজেই বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে সঠিক তথ্য ই পাসপোর্টে অর্ন্তভুক্ত করতে পারবেন।

 

নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র বা নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার অনলাইন পদ্ধতি

Exit mobile version